
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার শেষ হচ্ছে সিমকার্ড পুনঃনিবন্ধন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে বন্ধ হয়ে যাবে অনিবন্ধিত সিমকার্ড। এদিকে অনিবন্ধিত সিমকার্ড টানা দু'মাস বন্ধ থাকবে বলে সর্বশেষ সাংবাদিকদের যে তথ্য দিয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, তা নিয়ে কিছুটা বিভ্রান্তি রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শেষ পর্যন্ত টানা দু'মাস সিমকার্ড বন্ধ থাকার বিষয়ে বিটিআরসি থেকে কোনো নির্দেশনা যাচ্ছে না। নতুন সিমকার্ডের সমপরিমাণ বিক্রয়মূল্য ও কর পরিশোধ করে অনিবন্ধিত সিমকার্ড পুনরায় চালুর আগের সিদ্ধান্তই বহাল থাকছে।
১৮ মাসের মধ্যে অনিবন্ধিত সিমকার্ড নিবন্ধন না করা হলে গ্রাহক তার মালিকানা হারাবেন। এদিকে অ্যামটব সূত্র জানিয়েছে, গতকাল সোমবার পর্যন্ত ১০ কোটি ২৫ লাখের কিছু বেশি সিমকার্ড বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুনঃনিবন্ধিত হয়েছে। সূত্র আরও জানায়, ভয়েস কলের সক্রিয় গ্রাহকদের প্রায় ৯৫ শতাংশই নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। তবে তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, ইন্টারনেট মডেম এবং ট্যাবে ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য যেসব সিমকার্ড ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলোর বেশিরভাগই অনিবন্ধিত থেকে যাচ্ছে। এ ছাড়া অনেক গ্রাহক যারা একাধিক সিমকার্ড ব্যবহার করতেন, তাদের অনেকেই একটি কিংবা দুটির মালিকানা রেখে বাকি সিমকার্ডগুলো নিবন্ধন করেননি। এর বাইরে অবৈধ আন্তর্জানিত কল টার্মিনেশনসহ প্রি-অ্যাকটিভেট যেসব সিমকার্ড ছিল সেগুলোর বেশিরভাগই গত কয়েক মাসে বন্ধ হয়ে গেছে।দু'মাস বন্ধ থাকা নিয়ে বিভ্রান্তি :সংশ্লিষ্ট একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, চলতি মে মাসের শুরুর দিকে ৩১ মের পর অনিবন্ধিত সিমকার্ড দু'মাসের জন্য বন্ধ করতে প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপারে মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করেন। পরবর্তী সময়ে বিষয়টি নিয়ে মোবাইল ফোন অপারেটরদের সঙ্গেও আলাপ হয়। সার্বিক পর্যালোচনায় দেখা যায়, সাধারণ বিবেচনায় দু'মাসের জন্য কোনো সিমকার্ড বন্ধ থাকলে দু'মাস পর সংশ্লিষ্ট গ্রাহক আর তা নতুন করে ব্যবহারে উৎসাহী হবেন না। এক্ষেত্রে গ্রাহককে অন্য কোনো উপায়ে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার বিষয়টি আলোচনায় আসে। এক্ষেত্রে ৩১ মে রাতের জিরো আওয়ার থেকে অনিবন্ধিত সব সিমকার্ড বন্ধ এবং নতুন করে সিমকার্ড চালু করতে হলে গ্রাহককে নতুন সিমকার্ডের সমপরিমাণ বিক্রয়মূল্য এবং কর পরিশোধের ব্যবস্থা রাখার বিষয়ে প্রস্তাব ওঠে। বাস্তব অবস্থা বিবেচনায় প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম নিজেও এতে সম্মত হন। এ বিষয়ে সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। কিন্তু এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে সর্বশেষ আলাপে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী টানা দু'মাস সিমকার্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানালে এ নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। এ কারণে বিষয়টি গতকাল আবারও পর্যালোচনা করা হয়। সূত্র জানায়, সার্বিক পর্যালোচনার পর টানা দু'মাস সিমকার্ড বন্ধ থাকার ব্যাপারে বিটিআরসি থেকে কোনো নির্দেশনা না পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর ফলে পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গ্রাহককে অনিবন্ধিত সিমকার্ড চালু করতে নতুন করে মূল্য পরিশোধ করতে হবে। ১৮ মাসের মধ্যে নিবন্ধনের মাধ্যমে সিমকার্ড চালু না করা হলে গ্রাহক তার মালিকানা হারাবেন।
রাশেদ মেহেদী
পূর্ব
ঘোষণা অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার শেষ হচ্ছে সিমকার্ড পুনঃনিবন্ধন। ডাক ও
টেলিযোগাযোগ বিভাগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে বন্ধ হয়ে
যাবে অনিবন্ধিত সিমকার্ড। এদিকে অনিবন্ধিত সিমকার্ড টানা দু'মাস বন্ধ থাকবে
বলে সর্বশেষ সাংবাদিকদের যে তথ্য দিয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, তা
নিয়ে কিছুটা বিভ্রান্তি রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শেষ পর্যন্ত টানা
দু'মাস সিমকার্ড বন্ধ থাকার বিষয়ে বিটিআরসি থেকে কোনো নির্দেশনা যাচ্ছে না।
নতুন সিমকার্ডের সমপরিমাণ বিক্রয়মূল্য ও কর পরিশোধ করে অনিবন্ধিত সিমকার্ড
পুনরায় চালুর আগের সিদ্ধান্তই বহাল থাকছে। ১৮ মাসের মধ্যে অনিবন্ধিত
সিমকার্ড নিবন্ধন না করা হলে গ্রাহক তার মালিকানা হারাবেন।
এদিকে অ্যামটব সূত্র জানিয়েছে, গতকাল সোমবার পর্যন্ত ১০ কোটি ২৫ লাখের কিছু বেশি সিমকার্ড বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুনঃনিবন্ধিত হয়েছে। সূত্র আরও জানায়, ভয়েস কলের সক্রিয় গ্রাহকদের প্রায় ৯৫ শতাংশই নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। তবে তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, ইন্টারনেট মডেম এবং ট্যাবে ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য যেসব সিমকার্ড ব্যবহার
করা হচ্ছে সেগুলোর বেশিরভাগই অনিবন্ধিত থেকে যাচ্ছে। এ ছাড়া অনেক গ্রাহক যারা একাধিক সিমকার্ড ব্যবহার করতেন, তাদের অনেকেই একটি কিংবা দুটির মালিকানা রেখে বাকি সিমকার্ডগুলো নিবন্ধন করেননি। এর বাইরে অবৈধ আন্তর্জানিত কল টার্মিনেশনসহ প্রি-অ্যাকটিভেট যেসব সিমকার্ড ছিল সেগুলোর বেশিরভাগই গত কয়েক মাসে বন্ধ হয়ে গেছে।
দু'মাস বন্ধ থাকা নিয়ে বিভ্রান্তি :সংশ্লিষ্ট একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, চলতি মে মাসের শুরুর দিকে ৩১ মের পর অনিবন্ধিত সিমকার্ড দু'মাসের জন্য বন্ধ করতে প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপারে মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করেন। পরবর্তী সময়ে বিষয়টি নিয়ে মোবাইল ফোন অপারেটরদের সঙ্গেও আলাপ হয়। সার্বিক পর্যালোচনায় দেখা যায়, সাধারণ বিবেচনায় দু'মাসের জন্য কোনো সিমকার্ড বন্ধ থাকলে দু'মাস পর সংশ্লিষ্ট গ্রাহক আর তা নতুন করে ব্যবহারে উৎসাহী হবেন না। এক্ষেত্রে গ্রাহককে অন্য কোনো উপায়ে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার বিষয়টি আলোচনায় আসে। এক্ষেত্রে ৩১ মে রাতের জিরো আওয়ার থেকে অনিবন্ধিত সব সিমকার্ড বন্ধ এবং নতুন করে সিমকার্ড চালু করতে হলে গ্রাহককে নতুন সিমকার্ডের সমপরিমাণ বিক্রয়মূল্য এবং কর পরিশোধের ব্যবস্থা রাখার বিষয়ে প্রস্তাব ওঠে। বাস্তব অবস্থা বিবেচনায় প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম নিজেও এতে সম্মত হন। এ বিষয়ে সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। কিন্তু এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে সর্বশেষ আলাপে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী টানা দু'মাস সিমকার্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানালে এ নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। এ কারণে বিষয়টি গতকাল আবারও পর্যালোচনা করা হয়। সূত্র জানায়, সার্বিক পর্যালোচনার পর টানা দু'মাস সিমকার্ড বন্ধ থাকার ব্যাপারে বিটিআরসি থেকে কোনো নির্দেশনা না পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর ফলে পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গ্রাহককে অনিবন্ধিত সিমকার্ড চালু করতে নতুন করে মূল্য পরিশোধ করতে হবে। ১৮ মাসের মধ্যে নিবন্ধনের মাধ্যমে সিমকার্ড চালু না করা হলে গ্রাহক তার মালিকানা হারাবেন।
- See more at: http://bangla.samakal.net/2016/05/31/215543#sthash.qm8z7CKT.dpufএদিকে অ্যামটব সূত্র জানিয়েছে, গতকাল সোমবার পর্যন্ত ১০ কোটি ২৫ লাখের কিছু বেশি সিমকার্ড বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুনঃনিবন্ধিত হয়েছে। সূত্র আরও জানায়, ভয়েস কলের সক্রিয় গ্রাহকদের প্রায় ৯৫ শতাংশই নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। তবে তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, ইন্টারনেট মডেম এবং ট্যাবে ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য যেসব সিমকার্ড ব্যবহার
করা হচ্ছে সেগুলোর বেশিরভাগই অনিবন্ধিত থেকে যাচ্ছে। এ ছাড়া অনেক গ্রাহক যারা একাধিক সিমকার্ড ব্যবহার করতেন, তাদের অনেকেই একটি কিংবা দুটির মালিকানা রেখে বাকি সিমকার্ডগুলো নিবন্ধন করেননি। এর বাইরে অবৈধ আন্তর্জানিত কল টার্মিনেশনসহ প্রি-অ্যাকটিভেট যেসব সিমকার্ড ছিল সেগুলোর বেশিরভাগই গত কয়েক মাসে বন্ধ হয়ে গেছে।
দু'মাস বন্ধ থাকা নিয়ে বিভ্রান্তি :সংশ্লিষ্ট একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, চলতি মে মাসের শুরুর দিকে ৩১ মের পর অনিবন্ধিত সিমকার্ড দু'মাসের জন্য বন্ধ করতে প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপারে মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করেন। পরবর্তী সময়ে বিষয়টি নিয়ে মোবাইল ফোন অপারেটরদের সঙ্গেও আলাপ হয়। সার্বিক পর্যালোচনায় দেখা যায়, সাধারণ বিবেচনায় দু'মাসের জন্য কোনো সিমকার্ড বন্ধ থাকলে দু'মাস পর সংশ্লিষ্ট গ্রাহক আর তা নতুন করে ব্যবহারে উৎসাহী হবেন না। এক্ষেত্রে গ্রাহককে অন্য কোনো উপায়ে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার বিষয়টি আলোচনায় আসে। এক্ষেত্রে ৩১ মে রাতের জিরো আওয়ার থেকে অনিবন্ধিত সব সিমকার্ড বন্ধ এবং নতুন করে সিমকার্ড চালু করতে হলে গ্রাহককে নতুন সিমকার্ডের সমপরিমাণ বিক্রয়মূল্য এবং কর পরিশোধের ব্যবস্থা রাখার বিষয়ে প্রস্তাব ওঠে। বাস্তব অবস্থা বিবেচনায় প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম নিজেও এতে সম্মত হন। এ বিষয়ে সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। কিন্তু এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে সর্বশেষ আলাপে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী টানা দু'মাস সিমকার্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানালে এ নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। এ কারণে বিষয়টি গতকাল আবারও পর্যালোচনা করা হয়। সূত্র জানায়, সার্বিক পর্যালোচনার পর টানা দু'মাস সিমকার্ড বন্ধ থাকার ব্যাপারে বিটিআরসি থেকে কোনো নির্দেশনা না পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর ফলে পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গ্রাহককে অনিবন্ধিত সিমকার্ড চালু করতে নতুন করে মূল্য পরিশোধ করতে হবে। ১৮ মাসের মধ্যে নিবন্ধনের মাধ্যমে সিমকার্ড চালু না করা হলে গ্রাহক তার মালিকানা হারাবেন।
No comments:
Post a Comment